# Sylhet
TANGOAR HAOR
80
distance from sylhet city (in km)
Location
অধ্যাপক আলী রেজা খান-এর বর্ণনানুযায়ী এই হাওরে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০ প্রজাতির পাখি, ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১২'র বেশি প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০-এর বেশি প্রজাতির সরিসৃপ এবং ১০০০-এরও বেশি প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আবাস রয়েছে।
পর্যটকদের জন্য অন্ততঃ দুবার টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমন করা অবশ্যক। একবার প্রবল বর্ষায় ( মধ্য জুলাই থেকে মধ্য আগষ্টের মধ্যে) আরেকবার তীব্র শীতে ( মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্যে জানুয়ারীর মধ্যে)। শীতে হাজার হাজার পাখী এসে স্বাগতঃ জানাবে পর্যটকদের। আর বর্ষায় সমুদ্রের মতো উত্তাল জলরাশি, প্রবল বৃষ্টি আর মেঘালয় পাহাড় জুড়ে থোকা থোকা মেঘের বিচরন- এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
শীতকালে সুনামগঞ্জ শহরের সাহেববাড়ীর খেয়াঘাট পাড় হয়েই ভাড়ার মোটর সাইকেল পাওয়া যায়। মোটর সাইকেলে চড়ে চলে যেতে হয় তাহিরপুর অথবা টেকেরঘাট। সময় লাগবে দু ঘন্টার মতো। তাহিরপুর কিংবা টেকের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরা যায় টাঙ্গুয়ার হাওরে। বর্ষাকালে সুনামগঞ্জ থেকে বজরা ভাড়া করে অনেকেই দলবদ্ধ হয়ে টাঙ্গুয়া যান। বজরায় রাত্রিযাপন ও করা যায়। প্রতিদিনের জন্য বজরা ভাড়া পড়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা। তবে বর্ষাকালে হাওর যেরকম উত্তাল থাকে, লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য সতর্কতামুলক ব্যবস্থা ছাড়া টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমন করা সমীচিন নয়- যদিও বর্ষাকালেই টাঙ্গুয়ার রূপ হয়ে উঠে অতুলনীয় সুন্দর। সবচেয়ে ভালো হচ্ছে, সুনাগঞ্জ থেকে লঞ্চ ভাড়া নিয়ে পুরো টাঙ্গুয়া ঘুরে আসা। স্বভাবতইঃ এটা বেশ খরুচে বিষয়। লঞ্চ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর গিয়ে টাঙ্গুয়া ঘুরে টেকেরঘাট হয়ে ফিরে আসা যায়। টেকেরঘাট হচ্ছে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের চুনাপাথর খনি প্রকল্প, যদি ও বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তাহিরপুর বাজারে একটি মাত্র হোটেল আছে, নিম্নমানের। এ ছাড়া জেলা পরিষদের একটি বাংলো আছে, অনুমতি নিয়ে থাকা যায়। টেকেরঘাট খনি প্রকল্পে ও তাদের নিজস্ব বাংলো আছে।
Tangoar Sylhet
উত্তর পশ্চিম সিলেটে, মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও
ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ১০০ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে
টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থিতি। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০ টির মতো ঝর্না/ ছড়া
এসে মিশেছে এই হাওরে। ২০০০ সালে এটি ‘রামসার সাইট’ হিসাবে আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের পর এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এর
আগে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন
এলাকা’ হিসেবে ঘোষনা করে।
টাঙ্গুয়ার হাওর জীববৈচিত্রের এক অনন্য আঁধার। শীতকালে এখানে
স্থানীয় পাখীদের সাথে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখী এসে ভীড় জমায়। এ হাওরে
প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিরল প্রজাতির
প্যালাসেস ঈগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক রয়েছে এই হাওড়ে। স্থানীয়
জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক,
সারস[২], কাক, শঙ্খ চিল, পাতি ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ এই হাওরে।
এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির
উভচর, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর বাস, এই
হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর।
টাঙ্গুয়ার হাওর জীববৈচিত্রের এক অনন্য আঁধার। শীতকালে এখানে স্থানীয় পাখীদের সাথে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখী এসে ভীড় জমায়। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক রয়েছে এই হাওড়ে। স্থানীয় জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস[২], কাক, শঙ্খ চিল, পাতি ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ এই হাওরে। এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর বাস, এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর।
অধ্যাপক আলী রেজা খান-এর বর্ণনানুযায়ী এই হাওরে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০ প্রজাতির পাখি, ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১২'র বেশি প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০-এর বেশি প্রজাতির সরিসৃপ এবং ১০০০-এরও বেশি প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আবাস রয়েছে।
পর্যটকদের জন্য অন্ততঃ দুবার টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমন করা অবশ্যক। একবার প্রবল বর্ষায় ( মধ্য জুলাই থেকে মধ্য আগষ্টের মধ্যে) আরেকবার তীব্র শীতে ( মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্যে জানুয়ারীর মধ্যে)। শীতে হাজার হাজার পাখী এসে স্বাগতঃ জানাবে পর্যটকদের। আর বর্ষায় সমুদ্রের মতো উত্তাল জলরাশি, প্রবল বৃষ্টি আর মেঘালয় পাহাড় জুড়ে থোকা থোকা মেঘের বিচরন- এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
শীতকালে সুনামগঞ্জ শহরের সাহেববাড়ীর খেয়াঘাট পাড় হয়েই ভাড়ার মোটর সাইকেল পাওয়া যায়। মোটর সাইকেলে চড়ে চলে যেতে হয় তাহিরপুর অথবা টেকেরঘাট। সময় লাগবে দু ঘন্টার মতো। তাহিরপুর কিংবা টেকের ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরা যায় টাঙ্গুয়ার হাওরে। বর্ষাকালে সুনামগঞ্জ থেকে বজরা ভাড়া করে অনেকেই দলবদ্ধ হয়ে টাঙ্গুয়া যান। বজরায় রাত্রিযাপন ও করা যায়। প্রতিদিনের জন্য বজরা ভাড়া পড়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা। তবে বর্ষাকালে হাওর যেরকম উত্তাল থাকে, লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য সতর্কতামুলক ব্যবস্থা ছাড়া টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমন করা সমীচিন নয়- যদিও বর্ষাকালেই টাঙ্গুয়ার রূপ হয়ে উঠে অতুলনীয় সুন্দর। সবচেয়ে ভালো হচ্ছে, সুনাগঞ্জ থেকে লঞ্চ ভাড়া নিয়ে পুরো টাঙ্গুয়া ঘুরে আসা। স্বভাবতইঃ এটা বেশ খরুচে বিষয়। লঞ্চ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর গিয়ে টাঙ্গুয়া ঘুরে টেকেরঘাট হয়ে ফিরে আসা যায়। টেকেরঘাট হচ্ছে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের চুনাপাথর খনি প্রকল্প, যদি ও বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তাহিরপুর বাজারে একটি মাত্র হোটেল আছে, নিম্নমানের। এ ছাড়া জেলা পরিষদের একটি বাংলো আছে, অনুমতি নিয়ে থাকা যায়। টেকেরঘাট খনি প্রকল্পে ও তাদের নিজস্ব বাংলো আছে।
No comments:
Post a Comment